ডেস্ক রিপোর্ট: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রেরনে অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করেছে। জনপ্রতি কর্মীর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়া মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা অনুযায়ী কর্মী নিয়োগের পর বিমান ভাড়া বহন করবে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান। জনপ্রতি মাসিক বেতন হবে নির্ধারিত হয়েছে ১৫০০ রিংগিত।

মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক করমীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় বিএমইটি’র ৪২টি কার্যালয় এবং ১১টি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাচ্ছে। সরকার এই কার্যক্রমকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এর সুফল ভোগ করতে পারবে। সহজ কিছু নিয়মকানুনের মাধ্যমেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।

এসব নিবন্ধন কেন্দ্রে সাথে করে কর্মীর পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নিজের মোবাইল নম্বর, যদি ইমেইল তাহলে সেটি, যদি কোন দক্ষতা সনদ থাকে সেটি নিয়ে যেতে হবে।
তাছাড়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যাচ্ছে। অ্যাপ ছাড়া কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনে ২০০ টাকা ফি দিতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করলে ২০০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সার্ভিস চার্জ হিসেবে পরিশোধ করতে হবে। দক্ষতা সনদ ছাড়াও ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যে কেউ নিবন্ধন করতে পারবেন। কর্মীর একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হবে।

নিবন্ধনের পর যেভাবে নিয়োগ হবে,

বিএমইটি থেকে ১২ জুন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসকল কর্মীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি অথবা অন্য কোন বৈধ কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের দক্ষতার প্রশিক্ষণ রয়েছে তারা সেই প্রশিক্ষণের সনদ নিবন্ধনের সময় আপলোড করলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তাছাড়াও নূন্যতম ইংরেজির জ্ঞান, মালয় ভাষার জ্ঞান বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

মূলত কৃষি, নির্মাণ, খনি, গৃহকর্ম, বাগান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এসব খাতে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া। সরকারও আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরে বদ্ধ পরিকর।