গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ
জীবনে কিছু হওয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে মনে মনে দৃশ্যকল্প অংকন করে আত্মবিশ্বাস ধৈর্যেশীলতা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নতুন কিছু করার দক্ষতা নিয়ে আবুল ফজল একজন সফল উদ্যোক্তা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্থবায়নে -১০০ বছরের অধিক অনাবাদী জমিতে ৪ ফসলের আবাদ করে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছেন।
কৃষক আবুল ফজল ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলা বোকাইনগর ইউনিয়নের বালুচড়া গ্রামের মোঃ আবুল কাইয়ুমের বড় ছেলে আবুল ফজল পরিবারের অসচ্ছলতার দরুন নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরুতেই নবম শ্রনি পর্যন্ত পড়াশোনার সময়ই পরিবারের হাল ধরতে নিজে উপার্জনের জন্য ১৯৯৭ সালে চলে যান ঢাকায়।
চাকুরী অবস্থা তার চিন্তা ছিল নিজে কিছু করার সে ভাবনা থেকেই দৃঢ় মনোবল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন চাকুরী ছেড়ে চলে আসেন বাড়িতে। সঞ্চয়কৃত ১ লক্ষ টাকা পুজি নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। এরপর বাড়িতে এসে কয়েক দিন পর কৃষি কাজে নিজের ১০২ শতাংশ জায়গা নিয়ে শুরু করেন কৃষি কাজ।
সিজনাল এবং অপ সিজনাল বিভিন্ন দেশী বিদেশি সবজি চাষে তিনি ব্যাপক সফল হয়েছেন। তার পর একদিন টিভিতে প্রচারিত দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা -এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবেনা এ ডাকে সাড়া দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সে ২৭০ শতাংশ ব্যাক্তি মালিকানাধীন ১০০ শত বছরের অধিক পরিত্যাক্ত জায়গা বাড়ি পাশ্র্বে লিজ নেন জায়গাটা ছিল পুরাতন মাটির তৈরি হাড়ি পাতিলের যিক জার ও জুব জার জঙ্গলি আদা অভয়ারণ্য বলতে গেলে মরুভূমির অনুর্বরতা । তিনি এগুলো অপসারণ করে চাষাবাদযোগ্য করে তুলেন । ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে জমিতে দিয়ে উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির করে ৪ ফসলের আওতায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা বাস্তবে রূপদানের জন্য মহতী উদ্যোগ গ্রহনকরে তিনি নিজেও সফল। সবজি-ফল ও
৬ শত বারমাসি সজিনা গাছ লাগিয়েছেন কারন সজিনা উৎপাদনে দাম বেশ ভালো পাওয়া যায় তা ছাড়া সজিনা পাতা অত্যন্তা পুষ্টিকর হওয়ায় এরপাতা বিক্রি বানিজ্যিক ভাবেও ভাল লাভবান হওয়া যাবে।
পুষ্টি সম্পন্ন সজিনা পাতা আবুল ফজল নিজের খামারের গরুকেও খাওয়াচ্ছেন যা থেকে তিনি ভাল ফল পেয়েছেন। প্রথমে শুরু করা ৪ টি গরু দিয়ে শুরু করা খামারে এখন ১৫ টি গরু রয়েছে বাড়িতে খামারটি ছোট পরিসরে থাকলেও বর্তমানে আলাদা করে গরুর সেড তৈরি করছেন যাতে ৩০টি গরু পালন করা যাবে। তিনি কোন ঋণ গ্রহন করেননি তবে ভবিষ্যতে ব্যাংক থেকে আর্থিক সহযোগিতা পান তাহলে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেবেন।
নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ফজল এগ্রো নামে কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। আবুল ফজলের কর্মকান্ড দেখে অনেক শিক্ষত বেকার যুবক আত্মকর্মসংস্থানের ব্যাপারে উৎসাহ পাচ্ছেন।
সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি আবুল ফজল বলেন , যে কোনো কাজকে ভালোবাসুন।কাজ উপভোগ করুন অভিজ্ঞতাই আপনা সাফল্যের গতি নির্ধারণ করে দেবে জীবেনের লক্ষ্য নির্ধারণে মনোযোগী হন। কঠোর পরিশ্রম করুন আপনি অবশ্যই সফল হবেন সফলতার জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি একাগ্রহতা ও কঠোর পরিশ্রম।
উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, আবুল ফজল একজন আদর্শ কৃষক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা-এক ইঞ্চি জমিও বাদ যাবেনা-এ ডাকে সাড়া দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সে অনাবাদী জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি,পর ও অন্যান্য অর্থকারী ফসল চাষ করে এবং গবাদী পশু পালন করে ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছে এবং এলাকার বেকার ছেলেদেরকে উদ্ধুদ্ধ করছে। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।