Tags: আন্তর্জাতিক, আলোর দিগন্ত, ইমরান খান, ইসলামাবাদ, উপ-নির্বাচন, জাতীয়, জয়, নির্বাচন, পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডেইলি টাইমসের প্রধান খবর হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রার্থীরা একাধিক নির্বাচনী এলাকায় দাঁড়াতে পারেন এবং একের বেশি জয়ী হলে কোন আসন ছেড়ে দেবেন তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে ইমরান খানের মতো প্রার্থীর জন্য এতগুলো আসনে অংশ নেওয়ার ঘটনা বিরল।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেট তারকা চলতি বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতা হারান। এরপর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইমরান পাকিস্তানজুড়ে সমাবেশ করছেন।
ইসলামাবাদের দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটির বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলেন, আটটির মধ্যে ছয়টিতে জয় পাওয়া ছোট কিছু না। এটি এমন একটি বাস্তবতাকে সামনে এনেছে যা ক্ষমতাসীন জোটের জন্য খারাপ হতে পারে। পাকিস্তানের ইতিহাসে এটা বিরল।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আমি সরকার ও সংস্থাকে জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করতে এবং অবিলম্বে দেশে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সরকারের সাথে নির্বাচনী কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। আগামী বছরের অক্টোবরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই দেশটিতে আগাম নির্বাচন চান ইমরান খান।
তিনি আগামী বছরের অক্টোবরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আগে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করার জন্য সরকারকে চাপ দিতে রাজধানীতে তার সমর্থকদের “লং মার্চ” এর তারিখ ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
২০১৮ সালে সামাজিক সংস্কার, ধর্মীয় রক্ষণশীলতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। কিন্তু, তার শাসনামলে পাকিস্তানের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে ও তিনি সেনাবাহিনীর সমর্থন হারান।
সূত্র: এনডিটিভি