Tags: ইউনিয়ন, কাটা, কেন্দ্রের, গাছ, পরিষদে, স্বাস্থ্য
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর মাওহা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কাটা গাছ এলাকাবাসীর প্রতিবাদের পর মাওহা ইউনিয়ন পরিষদে রেখে গেছে সৈয়দ সেলিম গং। মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায় কেটে ফেলা গাছের একটি অংশ পড়ে রয়েছে।
মাওহা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল ফারুক বলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি নিয়ে যেহেতু সমস্যা রয়েছে। তাই গাছ কাটার পর সেলিমকে ইউনিয়ন পরিষদে গাছ রেখে যেতে বলি। কেটে ফেলা গাছ পরিষদে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে মাওহা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, সঠিক জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সরকারি গাছ কর্তনের প্রতিবাদে গত ২২ জুন মানববন্ধন ও ২৩ জুন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী।
জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে মাওহা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দশ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। সেই কাজের অংশ হিসাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উত্তর পাশের জমি অবৈধভাবে দখল করে সৈয়দ সেলিম গং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছে। পূর্ব পাশের জমি দখল করে জেবিন আক্তার অবৈধ ভাবে ঘর তুলেছে। জেবিন আক্তারের ঘরটি তার ভাসুর আব্দুল মোতালিব বিএসসি কোচিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহৃত করছে। এরমধ্যে গত ১৯ জুন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সীমানার ভেতর থেকে সরকারি গাছ কেটে নেয় সৈয়দ সেলিম।
জানতে চাইলে সৈয়দ সেলিম বলেন ইউপি চেয়ারম্যান কেটে ফেলা গাছ রেখে যেতে বলেছিল। মানববন্ধনের পর ওইদিন রাতে কেটে ফেলা গাছ ইউনিয়ন পরিষদে রেখে আসি।
আব্দুল মোতালিব বিএসসি বলেন সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করার পর যদি আমার জমি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সীমানায় পড়ে তাহলে আমরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি ছেড়ে দিবো।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করার ইউএনও স্যারকে প্রতিবেদন দিবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে কর্তনকৃত গাছ, সীমনা প্রাচীর ও দখলদার উচ্ছেদে ইউএনও স্যার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমির সীমানা নিয়ে যেহেতু জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই কেটে ফেলা গাছ ইউপি চেয়ারম্যানকে পরিষদের জিম্মায় রাখতে বলা হয়েছে। জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের পর গাছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।