Tags: কুপিয়ে, ছিনতাই, টাকা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ১৮ লাখ
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ০৭/১০/২০২২ তারিখ রোজ শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় জয় সাহা (২৮) নগদ ১৮,০৫,০০০/- টাকা নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার তারঘাট বাজার হতে সিএনজি অটো রিক্সা যোগে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার সময় কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রসুলপুর দরগাঁবাড়ী এর নিকট পৌঁছলে সিএনজি থামিয়ে জয় সাহাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে ছিনতাইকারীরা ১৮,০৫,০০০/- টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এতদসংক্রান্তে নান্দাইল মডেল থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-০৯/১০/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। মাননীয় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয় মামলার রহস্য উদঘাটন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহকে নিযুক্ত করা হয়।
ধারাবাহিক অভিযান পরিচালন করে গত ১০/১০/২০২২ তারিখ আসামি ১। মোঃ আব্দুল জলিল (৩২), পিতা-মৃত আব্দুল বারিক, মাতা-হামিদা খাতুন, গ্রাম-মাইজহাটি (উত্তরপাড়া), থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর চৌকস টিম ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ আশাপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯/১০/২০২২ তারিখ নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানা এলাকা থেকে ছিনতাইকারী ২। রবিউল আওয়াল (২১), পিতা-আব্দুর রাজ্জাক, মাতা-নাজমা ও ৩। মোঃ শাহীন মাহমুদ (৩০), পিতা-মোঃ আব্দুল লতিফ, মাতা-মোছাঃ জাহানারা, উভয় গ্রাম-মাইজহাটি (৭নং মুশুল্লি ইউপি), থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে গ্রেফতার করে। ১৯/১০/২০২২ তারিখ আসামি মোঃ আব্দুল জলিল (৩২) এর রিমান্ড শুননী শেষে বিজ্ঞ আদালত এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মোঃ আব্দুল জলিল (৩২) কে পুলিশ হেফাজতে এনে গ্রেফতারকৃত আসামী রবিউল আওয়াল (২১) ও মোঃ শাহীন মাহমুদ (৩০) দ্বয়ের উপস্থিতিতে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ কালে আসামি ৩ জন ১৮,০৫,০০০/- টাকা ছিনতাই এর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায় যে, অত্র মামলার ভিকটিম জয় সাহা এর পিতা বাদী বিশ্বনাথ সাহা একজন পাইকারী মুদি ব্যবসায়ী।কিশোরগঞ্জ হতে আশেপাশের বাজার ও বন্দর এলাকায় মুদি মালামাল বাকীতে পাইকারী বিক্রি করে থাকেন এবং সপ্তান্তে বকেয়া টাকা সংগ্রহ করেন।জয় সাহা (২৮) তার পিতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বকেয়া টাকা সংগ্রহের কাজটি করে থাকেন। প্রতি সপ্তাহে জয় সাহা এর বহন করা নগদ টাকার প্রতি আসামিরা লোভাতুর হয়ে অত্র মামলার ঘটনার ১৫/২০ দিন পূর্বে আব্দুল জলিল (৩২), শাহীন মাহমুদ (৩০) ও পলাতক অপর এক আসামি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক আসামি মোঃ আব্দুল জলিল (৩২) ও মোঃ শাহীন মাহমুদ (৩০) গ্রেফতারকৃত আসামী রবিউল আওয়াল (২১) সহ অপর ১ পলাতক আসামিকে ছিনতাই করার জন্য ডেকে নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত আসামি রবিউল আওয়াল (২১) সহ দুই ছিনতাইকারী পূর্ব পরিকল্পনামতে ০৭/১০/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় যাত্রীবেশে সিএনজি অটো রিক্সায় জয় সাহা (২৮) এর অপেক্ষায় বসে থাকে। নগদ ১৮,০৫,০০০/- টাকা নিয়ে জয় সাহা (২৮) তারঘাট বাজার হতে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার প্রাক্কালে আসামি আব্দুল জলিল (৩২) ও শাহীন মাহমুদ (৩০) তাকে অনুসরণ করে।যাত্রীবেশে বসে থাকা ছিনতাইকারীদের সাথে সাধারণ সহযাত্রী হয়ে সিএনজি যোগে জয় সাহা (২৮) কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে। কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে রসুলপুর দরগাঁবাড়ী নিকটস্থ অত্র মামলার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জয় সাহার সহযাত্রী রবিউল আওয়াল (২১) ও পলাতক অপর আসামি জয় সাহা (২৮) কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে ১৮,০৫,০০০/- টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি রবিউল আওয়াল (২১) ও মোঃ শাহীন মাহমুদ (৩০)দ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে ,তারা উভয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিস্তারিত বর্ণনা সহ নিজেদের কৃতকর্ম প্রকাশ করে স্বেচ্ছায় ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামি মোঃ আব্দুল জলিল (৩২) এর স্বীকারোক্তি মতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ২০/১০/২০২২ তারিখ রাত অনুামন ০৩.৩০ ঘটিকার সময় তার বসত ঘর হতে ছিনতাইকৃত টাকার ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়।পলাতক ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ আব্দুল জলিল (৩২)
পিতা-মৃত আব্দুল বারিক
মাতা-হামিদা খাতুন
গ্রাম-মাইজহাটি (উত্তরপাড়া)
২। রবিউল আওয়াল (২১)
পিতা-আব্দুর রাজ্জাক
মাতা-নাজমা
৩। মোঃ শাহীন মাহমুদ (৩০)
পিতা-মোঃ আব্দুল লতিফ
মাতা-মোছাঃ জাহানারা
উভয় গ্রাম-মাইজহাটি (৭নং মুশুল্লি ইউপি)
সর্ব থানা-নান্দাইল,
জেলা-ময়মনসিংহ।